অবশেষে
যাহা হইবার তাই হইলো I ট্রেড ইউনিয়ন ও একাংশের অফিসার কর্মীর শত বিরোধিতা সত্বেও তাপস কর ফিরিয়া আসিলেন I ইতিমধ্যে এক বছরের কিছু বেশি সময় অতিক্রান্ত হইলো I এই সময়ে অতি প্রয়োজনীয় দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য পরীক্ষার ল্যাবরেটারি সম্পূর্ণ বন্ধ হইয়া পরিয়া রইলো I ট্রেড ইউনিয়ন ও একাংশের অফিসার কর্মীর প্রতিরোধের ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের RKVY প্রকল্পের টাকায় কেনা বহু মূল্যবান সব যন্ত্রপাতি অব্যবহৃত অবস্থায় থাকিল I দিনের পর দিন গ্রামীন দুধ চাষীদের পাঠানো দুধ সঠিক পরীক্ষার অভাবে ডেয়ারী হইতে বাতিল হইলো I চাষী দুধের নায্য মূল্য পাইলেন না I চাষী ক্ষতিগ্রস্থ হইলেন I প্রাথমিক দুগ্ধ সমবায় ক্ষতিগ্রস্থ হইলো I অন্য প্রান্তে প্রাইভেট ডেয়ারীগুলো ভেজাল দুধ সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রয় করছে কিনা তাও এই সরকারী পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করা গেল না I ফলে দুর্নীতিবাজরা লাভবান হইলেন I ভেজাল দুধ বিক্রয় করিয়া কোটি কোটি টাকা উপার্জন করিলেন I ভেজাল দুধ সরবরাহকারীরা উপকৃত হইলেন I আর এই সবই হইলো দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংগ্রামের নামে I
ট্রেড ইউনিয়ন ও একাংশের অফিসার কর্মীর বিরোধিতার ফলে পশু পালন দপ্তরের বামফ্রন্টের মন্ত্রী শ্রী নারায়ন বিশ্বাস ল্যাবরেটারিতে কর্মী নিয়োগ রধ করিয়া অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগীয় তদন্তের আদেশ দেন I বিভাগীয় মন্ত্রী দপ্তরের বিশেষ সচিব শ্রী অশোক কুমার পালকে, সংস্থার ম্যানেজার শ্রী তাপস করের বিরুদ্ধে স্বজন পোষণ, কর্মী নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রভৃতি ট্রেড ইউনিয়নের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তের দ্বায়িত্ব দেন I শ্রী পাল তদন্তের জন্য সকল পক্ষকে হিয়ারিং নোটিস মারফত নিদৃষ্ট দিনে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সমস্ত তথ্য বিচারের উদ্দ্যেশে জমা দিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য পেশ করতে বলেন I অভিযুক্ত ও অভিযোগকারীর সকল তথ্য এবং বক্তব্য বিচার করে তদন্তকারী অফিসার দপ্তরের মুখ্য সচিবের কাছে তদন্তের রিপোর্ট পেশ করেন I ইতিমধ্যে বিধানসভা নির্বাচনে বামফ্রন্টের পরাজয় হয় I কলকাতা উচ্চ আদালতের বিচারপতি ও তৃনমূল দলের প্রতিনিধি শ্রী নুরে আলম চৌধুরী দপ্তরের নয়া মন্ত্রী হিসাবে দ্বায়িত্ব গ্রহণ করেন I শ্রী পালের পেশ করা তদন্তের রিপোর্টি দেখে মাননীয় মন্ত্রী অনুধাবন করেন যে অত্যন্ত অযৌক্তিক ও অন্যায় ভাবে সংস্থার অফিসার শ্রী তাপস করকে কাজে যোগ দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে I সংস্থার ম্যানেজার শ্রী তাপস করের বিরুদ্ধে স্বজন পোষণ, কর্মী নিয়োগে অনিয়ম, দুর্নীতি প্রভৃতি ট্রেড ইউনিয়নের অভিযোগের কোনো যুক্তিগ্রাঝ্য তথ্য নাই I অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রেড ইউনিয়ন কোনো যুক্তি নির্ভর তথ্যই পেশ করতে পারে নি I মূলত প্রতিহিংসা পরায়ন হয়েই সংস্থার কিছু অফিসার ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গে অভিসন্ধিমুলকভাবে যোক্ত হয়ে শ্রী করের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিল I মন্ত্রী সবকিছু বিচার করিয়া শ্রী করকে কাজে যোগ দিতে আদেশ দেন I শ্রী কর গত ২১ শে জুন কাজে যোগ দেন ই
ট্রেড ইউনিয়ন ও সংস্থার একাংশের অফিসার কর্মীর ধারণা ছিল তারা একজোট হয়ে, সংস্থার অপর ম্যানেজার শ্রী তাপস করের বিরুদ্ধে স্বজন পোষণ, কর্মী নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রভৃতি অভিযোগ করলেই প্রশাসন বিনা তদন্তে, বিনা অভিযোগ প্রমানেই শাস্তি দিয়ে দেবেন I