Tuesday, May 17, 2011

প্রশাসনিক তদন্তের ফলাফল 

গত বছর মিল্ক ফেডারেশন অফিসের একাংশের নীতিহীন উচ্চপদস্থ কর্মচারী ও ট্রেড ইউনিয়নের একাংশের দুর্নীতিপরায়ণ ও সুবিধাবাদী নেতৃত্বের যোগসাযোগে সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে অপর এক উচ্চপদস্থ কর্মচারী শ্রী তাপস করের  বিরুদ্ধে  দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ আনে I সংস্থায় ঐ নীতিহীন দুর্নীতিপরায়ণ উচ্চপদস্থ অফিসারদের প্রত্যক্ষ মদতে, ঐ সুবিধাবাদী ট্রেড ইউনিয়ন নেতারা, সারা অফিসে শ্রী তাপস করের নামে অশ্লীল পোস্টের লাগায় I  এই ঘটনায়  অপমানিত বোধ করে শ্রী তাপস কর উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করে I 


আর ঠিক এই সুযোগেরই অপেক্ষায় ছিল  ঐ নীতিহীন অফিসার্কুল ও শয়তান নেতৃত্ব I তাল বুঝে তারা শ্রী তাপস করের পদতাগ পত্র গ্রহনের দাবি জানিয়ে বসে এই ভেবে যে তাদের অশুভো উদ্দ্যেশ্য হাসিল হবে I সংস্থার অধিকাংশ কর্মচারীদের দিয়ে, শ্রী করের পদতাগ পত্র গ্রহনের সপক্ষে সাক্ষর করিয়ে প্রশাসনের কাছে তারা চিঠি জমা করে I 


সমগ্র ইউনিয়নের মাত্র দুই জন সদস্য শ্রী তাপস পাল ও শ্রী অভিজিত রায়, ঐ পত্রে সই না করে, এই ঘটনার প্রতিবাদ জানায় এবং ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃত্বকে চিঠি দিয়ে জানায়, ট্রেড ইউনিয়নের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত বেঠিক I  শ্রী তাপস করের বিরুদ্ধে কোনো সুনিদৃষ্ট অভিযোগ থেকে থাকলে প্রশাসনের কাছে তার জন্য তদন্তের দাবি না করে, পদত্যাগ পত্র গ্রহনের দাবি করার অর্থ হ'ল, খিড়কির দরজা দিয়ে শ্রী তাপস করের মত দুর্নিতিপরাযনকে (তাদের দৃষ্টিতে) বিনা তদন্তে, বিনা শাস্তিতে পালাবার পাকাপাকি ব্যবস্থা করা I শ্রী রায় ও শ্রী পাল তাদের চিঠিতে এও লেখেন যে অভিযোগকারী অফিসার, কর্মচারী ও নেতাদের উচিত স্ব স্ব ট্রেড  ইউনিয়ন সংগঠনের লেটার হেডে পৃথকভাবে কতৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া Iতারা আরো লেখেন যে, সংস্থার অভিযোগকারী অফিসার এবং ট্রেড ইউনিয়ন নেতারা হাজারবার চাইলেও, প্রশাসন কোনো অবস্থাতেই বিনা তদন্তে, বিনা অভিযোগ প্রমানে, শ্রী তাপস করের পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করতে পারবে না I এর  কারণ হিসাবে তারা লেখেন, বর্তমান অবস্থায় পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করার অর্থ হয়, সরকার দুর্নীতিকে প্রসয় দিচ্ছে I  


এর পর দেখা গেল ট্রেড ইউনিয়নের অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্য সরকার এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তর আদেশ দিয়েছে Iরাজ্য সরকারের তদন্তের আদেশ দেওয়া প্রমান করলো, শ্রী রায় ও শ্রী পালের বক্তব্য কতখানি সঠিক ছিল এবং অভিযোগকারী অফিসার, কর্মচারী ও ট্রেড ইউনিয়ন নেতারাই আসলে কতটা অযৌক্তিক, নীতিহীন ও দুর্নীতিপরায়ণ I আসলে এই তদন্তের আদেশ দেখিয়ে দিল, সম্পূর্ণ যুক্তিহীনভাবে কেবল প্রতিহিংসা থেকেই পদত্যাগ পত্র গ্রহনের দাবি করা হয়েছে I 


শোনা যাচ্ছে ইতিমধ্যে তদন্তের রিপোর্ট দপ্তরের প্রধান সচিবের কাছে জমা পরেছে I আশা করা যায়, কিছুদিনের মধ্যেই অভিযোগ যে সম্পূর্ণ উদ্দ্যেশপ্রনোদিত এবং ভিত্তিহীন ছিল তা সামনে আসবে I